থ্রিডি
প্রিন্টিং বা এডিটিভ ম্যানুফেকচারিং হল একটি ডিজিটাল ফাইল হতে ত্রৈমাত্রিক সলিড বস্তু
তৈরির প্রক্রিয়া। এডিটিভ প্রক্রিয়ার ব্যবহারে থ্রিডি প্রিন্টেড বস্তু তৈরি সম্ভব হয়েছে।
একটি এডিটিভ প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিক লেয়ার তৈরির
মাধ্যমে সম্পূর্ণ বস্তুটি প্রস্তুত হয়। প্রত্যেকটি লেয়ারকে চূড়ান্ত বস্তুটির ক্রমান্বয়ে
সাজানো একটি আনুভূমিক প্রস্থচ্ছেদের মত মনে হতে পারে।
থ্রিডি প্রিন্টিং কিভাবে কাজ করে?
যা তৈরি করতে চান তার
একটি ভার্চুয়াল
ডিজাইন তৈরির
মাধ্যমে থ্রিডি
প্রিন্টিং শুরু হয়। থ্রিডি মডেলিং প্রোগ্রাম অথবা
থ্রিডি স্ক্যানার
ব্যবহার করে
একটি ক্যাড
ফাইলে এই
ভার্চুয়াল
ডিজাইন করা হয়। একটি থ্রিডি
স্ক্যানার কোন বস্তুর ডিজিটাল কপি
তৈরি করে।
থ্রিডি মডেল তৈরির করার জন্য
থ্রিডি স্ক্যানার
বিভিন্ন ধরনের
টেকনোলজি ব্যবহার
করে যেমন:
টাইম-অব-ফ্লাইট,
স্ট্রাক্সারড/মডুলেটেড লাইট,
ভলিউমেট্রিক স্ক্যানার এবং আরো অনেক।
অতি সম্প্রতি, অনেক আইটি কোম্পানী
যেমন মাইক্রোসফট
ও গুগল
তাদের হার্ডওয়্যারগুলোকে
থ্রিডি
প্রিন্টিং করার উপযোগী করে তুলছে, মাইক্রোসফট কাইনেক্ট
একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
ভবিষ্যতে
স্মার্টফোনের মত হ্যান্ড-হেল্ড ডিভাইসগুলো
যে থ্রিডি
স্ক্যানার ইন্টিগ্রেটেড হবে এটা
তারই একটা সুস্পষ্ট লক্ষণ। বাস্তব
বস্তুর ডিজিটাল
থ্রিডি মডেলিং
ছবি তোলার
মতই সহজ হয়ে হবে। থ্রিডি স্ক্যানারের
দাম অতি
মূল্যবান প্রফেশনাল
ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ডিভাইস হতে শুরু করে যেকোন লোকের
দ্বার ঘরে
তৈরি ৩০
ডলারের ডিআই
ডিভাইস পর্যন্ত।
স্ট্রাক্সারড লাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে
একটি প্রফেশনাল এইচডিআই থ্রিডি স্ক্যানার
কিভাবে স্ক্যান
করে তা
নিচের ভিডিওতে
দেখুন:
একটি ডিজিটাল ফাইল প্রিন্টিয়ের প্রস্তুতির জন্য থ্রিডি মডেলিং সফটওয়্যার ফাইনাল মডেলকে শত হাজার আনুভূমিক লেয়ারে বিভক্ত করে। লেয়ারে সাজানো ফাইল থ্রিডি প্রিন্টারে আপলোড করলে লেয়ার বাই লেয়ার অবজেক্ট তৈরি করতে পারে। থ্রিডি প্রিন্টার প্রতিটি স্লাইস/লেয়ার (বা টুডি ইমেজ) পড়ে অবজেক্ট তৈরি করে, প্রতিটি লেয়ারের যেকোন দৃশ্যমান অংশ পুরোপুরিভাবে মিশিয়ে থ্রি ডাইমেনশনাল অবজেক্ট তৈরি করে।
পদ্ধতি এবং প্রযুক্তি
বিভিন্ন ধরনের থ্রিডি প্রিন্টার বিভিন্ন
প্রযুক্তি ব্যবহার করে। বিভিন্ন পদ্ধতিতে
প্রিন্ট করা হয় এবং সবগুলোই এডিটিভ,
শুধু চূড়ান্ত
বস্তু প্রস্তুতে
লেয়ার তৈরির
বিভিন্ন পদ্ধতিই পার্থক্য ।
কিছু পদ্ধতি লেয়ার তৈরিতে মেল্টিং
বা সফটেনিং
মেটেরিয়াল ব্যবহার করে। সিলেকটিভ সিনটেরিং (এসএলএস) ও ফিউজড ডিপোজিশন
মডেলিং (এফডিএম)
পদ্ধতিই সবচেয়ে
প্রচলিত প্রিন্টিং
প্রযুক্তি। আরেক রকমের প্রিন্টিং
হল যখন
আমরা একবারে
একটি লেয়ার
ইউভি লেজার
অথবা একই
ধরনের জ্বালানী উৎসের সাহায্যে একটি
ফটো রি-একটিভ রেসিন
কিউরিং করার
কথা বলি।
অতি প্রচলিত প্রযুক্তি যা এই
পদ্ধতি ব্যবহার
করে তাকে
বলা হয়
স্টেরিওলিথোগ্রাফী (এসএলএ)।
বিশেষভাবে, ২০১০ সাল থেকে আমেরিকান
সোইসিটি ফর
টেষ্টিং এন্ড
মেটেরিয়ালস (এএসটিএম) গ্রুপ “এএসটিএম
এফ৪২- অ্যাডিটিভ ম্যানুফেকচারিং”,
যে স্ট্যান্ডার্ড
সেট ডেভেলপ
করে তা
স্ট্যান্ডার্ড টার্মিনোলজি
ফর অ্যাডিটিভ
ম্যানুফেকচারিং টেকনোলজিস অনুযায়ী অ্যাডিটিভ ম্যানুফেকচারিংকে ৭টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে।
এই সাতটি
প্রক্রিয়া হল:
১. ভেট ফটোপলিমারাইজেশন
২. ম্যাটেরিয়াল জেটিং
৩. বাইন্ডার জেটিং
৪. মেটিরিয়াল এক্ট্রোশন
৫. পাউডার বেড ফিউশন
৬. শীট লেমিনেশন
৭. ডিরেক্টেড এনার্জি ডিপোজিশন
নিচে আপনি থ্রিডি প্রিন্টিং এর
সাতটি প্রকিয়ার
সংক্ষিপ্ত বণর্না দেখতে পাবেন:
ভেট ফটোপলিমারাইজেশন
ভেট ফটোপলিমারাইজেশন পদ্ধতির একটি থ্রিডি
প্রিন্টারে ফটোপলিমার রেসিন দ্বারা পূর্ণ
একটি
কন্টেইনার থাকে যা
তখন ইউভি
লাইট সোর্স
দ্বারা ঘনীভূত
হয়।
No comments:
Post a Comment